Tuesday, March 11, 2025
Homeগল্প কথাবুড়ো জাদুকর

বুড়ো জাদুকর

বুড়ো জাদুকর

অনেকদিন আগের কথা। পাহাড় ঘেরা কোনো এক ছোট্ট গ্রামে এক জাদুকর বাস করতো।

জাদুকরটি দেখতে যেমন কুৎসিত, আচরণেও খুব রগচটা। সে এমন জাদু জানতো যা দিয়ে সে মানুষকে মাটি বানিয়ে ফেলতে পারতো। তাই সবাই তাকে ভয় করত এবং এড়িয়ে চলত।

জাদুকর সবসময় তার জাদু-মন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। সে কোন কাজই করত না। সে এমন একটা জাদু জানত যা দিয়ে সে আপনা আপনি খাবার পেয়ে যেত। তাই তার আর কাজ করার কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে সে মানুষের সামনে তার জাদু দেখাতো না।

সে সবসময় তার গ্রামের মানুষদের ঘৃণা করতো। সে ভাবতো এসব মানুষ অযথাই হৈ-হুল্লোড় চেঁচামেচি করে। এতে সে কখনও শান্তি পেত ন। তার ভয়ে অনেকে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে লাগলো। একসময় জাদুকরটি উপলব্ধি করলো যে, সে অযথাই তার গ্রামের লোকদের ভয় দেখাচ্ছে।

জাদুকর রগচটা হলেও দয়ালু ছিল। সে চিন্তা করতে লাগল কীভাবে এই গ্রাম থেকে অন্য কোথাও নির্জনে সে একা একা থাকতে পারবে। এতে করে গ্রামের লোকজন বাঁচতে পারবে এবং সেও নিরিবিলি তার কাজ করতে পারবে। ভাবতে ভাবতে সে ঠিক করলো যে, গ্রামের পাশ দিয়ে যে নদী বয়ে গেছে সে সেই নদী ধরে এগিয়ে যাবে। যদি নিরিবিলি কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে পায় সেখানেই সে তার তাবু ফেলবে।

যেই বলা সেই কাজ। সে মন্ত্র পাঠ করা শুরু করল,

‘অং ত্রং মং ভং,খিচু নিবা ভা

বিশাল একটা নৌকা হয়ে যা’

মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় একটা নৌকা তৈরি হয়ে গেল। এবার সে তার নৌকায় উঠে পড়লো। নৌকায় উঠে সে আবার বলল,

‘নৌকা আমার ওহে, পার করে নিয়ে চল সাত সমুদ্র পেছনে ফেলে।’

সঙ্গে সঙ্গে নদীর বুক চিরে নৌকা ছুটে চললো সামনের দিকে। জাদুঘর তখন অবাক দৃষ্টিতে চারদিকের প্রকৃতি দেখতে লাগল এবং ভাবল সে আসলেই অনেক বোকা। এতদিন সে তার বদ্ধ গুহায় আবদ্ধ থাকায় প্রকৃতির এত সুন্দর রূপ-লাবণ্য দেখতে পায়নি। পৃথিবী কতই না সুন্দর! সৃষ্টিকর্তা কত সুন্দর করে এই বৈচিত্র্যময় বসুন্ধরা সৃষ্টি করেছেন। কোথাও যেন কোনো খুঁত নেই। এসব ভাবতে ভাবতে সে কখন যে সমুদ্রের মধ্যে চলে এসেছে বুঝতে পারেনি।

সমুদ্রে এসে সে আরও অবাক। কত বিশাল সমুদ্র। শুধু পানি আর পানি। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। সূর্যের গোলাপি আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। জাদুকরের বিস্ময় যেন কাটতেই চায় না। এদিকে তার ক্ষুধাও লেগেছে। কিছু খাওয়া দরকার। তাই সে আবার মন্ত্র পড়া শুরু করল,

  ‘ইং বিং ঝিং ঝা, রাতের খাবার এসে যা’

সঙ্গে সঙ্গে রাতের খাবার এসে গেল। সে আরাম করে রাতের খাবার খেয়ে নিলো। সারাদিন ঘুম হয়নি, তাই সে ভরা পেটে একটা শান্তির ঘুম দিয়ে দিল।

রাত যখন গভীর হতে শুরু করল তখন ধীরে ধীরে সমুদ্রের ঢেউও বাড়তে লাগলো। আকাশ ছেয়ে গেল ঘন কালো মেঘে। আস্তে আস্তে সাগরের ঢেউ-এর উচ্চতা বাড়তে লাগলো। গর্জন করতে শুরু করল সাগরের ঢেউগুলো। উঁচু করে আসা ঢেউ-এর পানি ছিটকে গিয়ে পড়ল জাদুকরের চোখ-মুখে। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে গেল। সে ধড়মড় করে উঠে বসে পড়ল। অবাক হয়ে গেল সমুদ্রের এমন রূদ্র রূপ দেখে।

হঠাৎ একটা বিশাল ঢেউ এসে জাদুকরের নৌকাটি উল্টিয়ে ফেলে দিল সাগরের বুকে। জাদুকর যদিও সাঁতার জানতো, কিন্তু এমন ভয়ংকর সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করার সামর্থ্য তার ছিল না। সে কোনোমতে হাবুডুবু খেতে খেতে একটা বালুচরে এসে আছড়ে পড়লো। তার দেহে আর বিন্দুমাত্র শক্তি ছিল না। তাই সে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইলো।

পরের দিন সকালে তার ঘুম ভাঙলো। নিজেকে সে আবিষ্কার করল এক নির্জন জনমানবহীন দ্বীপে। সে যেমনটি চেয়েছিল এ দ্বীপটি ঠিক তেমনই। তার খুব আনন্দ হতে লাগলো এমন একটি দ্বীপে আসতে পেরে।

আজকের আবহাওয়া খুব ভালো। গতরাতে সমুদ্রের বুকে যে বিশাল তাণ্ডব শুরু হয়েছিল আজ তার কোনো অবশিষ্টাংশ নেই। আকাশে নেই কোনো মেঘ। সারা আকাশ জুড়ে শুধু নীল রঙের ছড়াছড়ি। এতো সুন্দর নীল আকাশ জাদুকর তার সারাজীবনে একবারও দেখেনি।

জাদুকর এবার দ্বীপ দেখার জন্য ভেতরের দিকে রওনা হলো। সে ঘুরেফিরে দ্বীপটিকে দেখতে লাগল। একসময় ক্লান্ত হয়ে একটা গাছের নিচে বসে পড়ল। ভাবলো এবার কিছু খাওয়া যাক। এই বলে সে মন্ত্র পড়তে শুরু করল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় জাদুকরের মন্ত্র কাজ করছে না! সে যতবারই মন্ত্র পাঠ করছে ততবারই হতাশ হয়ে যাচ্ছে। সে অবাক হয়ে ভাবছে,এরকম তো আগে কখনো হয়নি। হঠাৎ কী হলো! আমি কি মন্ত্র ভুলে গেলাম নাকি! সে এবার মন্ত্র উল্টো দিক থেকে পড়তে শুরু করল। কিন্তু না, কোনে কিছুতেই কাজ হয় না। সে এবার পুরোপুরি হতাশ হয়ে গেল।

এদিকে তার লেগেছে প্রচণ্ড ক্ষিধে। কিন্তু মন্ত্র কোনোভাবেই কাজ করছে না। তার মাথা গরম হয়ে গেল। কিন্তু মাথা গরম হয়েও কোনো লাভ নেই। কেননা এখানে তাকে সাহায্য করার মতো কেউ নেই।

জাদুকর তখন বুঝতে পারল গতরাতে ঝড়ের কবলে পড়ে সে যে নাকানিচুবানি খেয়েছে তার কারণেই হয়তো সে তার সব জাদু-মন্ত্র ভুলে গেছে। তাছাড়া তার তো অনেক বয়স হয়েছে। এখন আর কয়টা মন্ত্রইবা মনে রাখা যায়! তাই সে নিরাশ হয়ে দ্বীপের ভেতরের দিকে এগুতে লাগল। যদি কোনো খাবারের সন্ধান পাওয়া যায়।

দ্বীপের ভেতরে যেতে যেতে হঠাৎ জাদুকর একটি গাছে কিছু ফল দেখতে পেল। ফলগুলো দেখতে অনেকটা পেয়ারার মতো। সে মনের আনন্দে ফল খাওয়া শুরু করল। যখন তার পেট একদম ভরে গেল তখন সে খাওয়া শেষ করল। এদিকে সূর্য মাথার উপরে উঠে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে দ্বীপের তাপমাত্রাও বাড়ছে। এবার জাদুকর ভাবলো, পেট তো ভরলো এখন থাকার জন্য একটা ব্যবস্থা করতে হবে। তাই সে দ্বীপের ভেতর থেকে গাছের কয়েকটি কাণ্ড নিয়ে এলো। সেগুলো দিয়ে সে ঘরের কাঠামো তৈরি করল।

এরপর সে কিছু লতাপাতা দিয়ে ঘরের চারপাশ ঘিরে দিল। এবার সে দ্বীপের ধারে গিয়ে দেখতে পেল গতরাতে ডুবে যাওয়া নৌকাটি তীরে এসে ঠেকেছে। কিন্তু নৌকাটি পুরোপুরি ভেঙে গেছে। সে অনেক চেষ্টা করে নৌকাটি দ্বীপে তোলার চেষ্টা করল, কিন্তু সে পারল না। অগত্যা জাদুকর আবার দ্বীপের ভেতরে তার তৈরি করা ঘরে ফিরে আসলো।

ঘরে ঢুকে সে আরাম করে বিছানায় শুয়ে পড়ল। অনেক খাটাখাটুনি করে সে ক্লান্ত। এখন দরকার পূর্ণ বিশ্রাম। বিছানায় মাথা লাগাতেই তার ঘুম চলে এলো।

বিকেলে যখন জাদুকরের ঘুম ভাঙলো তখন বেলা অনেকটা পড়ে এসেছে। সে ঘর থেকে বাইরে চলে আসলো। এবার সে দ্বীপের ধার ধরে হাঁটতে লাগলো। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সে পায়ে কিছু একটা অনুভব করল। সে নিচু হয়ে যা দেখলো তা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। সে দেখতে পেল একটা কঙ্কাল পড়ে আছে।

এটা দেখে সে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেল। আগে সে এসব দিয়ে কত কাজ করত, এখন এসব দেখে সে ভয় পাচ্ছে! কারণ সে সব জাদু-মন্ত্র ভুলে গেছে। অজানা আশঙ্কায় তার মন কেঁপে উঠল। সে দৌড়ে তার কুটিরে চলে আসলো, ভয়ে সেদিন আর বের হলো না।

পরদিন সকালে জাদুকর ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হলো। হাস্যোজ্জ্বল সকাল দেখে সে গতকালের কথা ভুলেই গেল। এবার সে দ্বীপের ভেতরে পানি খুঁজতে বের হলো। কিছুক্ষণ হাঁটার পর সে দেখতে পেল একটা গাছের কাণ্ড থেকে পানি বেরুচ্ছে। সে অবাক হয়ে ভাবতে লাগল এই নির্জন জনমানবহীন দ্বীপেও পান করার মতো পানি আছে! পৃথিবীতে কত কিছুই সে জানতে পারেনি। আজ যদি সে তার গ্রাম থেকে না বের হতে তাহলে এসব সে কখনো দেখতে পেত না। সে ওই গাছের কাণ্ড থেকে বের হওয়া পানি তৃপ্তির সঙ্গে পান করল।

এভাবে কেটে গেল বেশকিছু দিন। হঠাৎ একদিন আবার শুরু হলো ঝড়। চিরকালের শান্তি সমুদ্রের ঢেউ আজ বড় অচেনা। এত বিশাল বিশাল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে মনে হচ্ছে আজ সমুদ্র সবকিছুকে নিজের মধ্যে টেনে নেবে। মনে হয় কত অনন্তকাল ধরে সে ক্ষুধার্ত,যেন কোনো কিছুতেই তার ক্ষুধা মিটবে না।

এভাবে উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন সারারাত ধরে চললো। সকালের দিকে কিছুটা ঠান্ডা হলো ঢেউ-এর গর্জন। আস্তে আস্তে আকাশের কালো মেঘ সরে সূর্য উঁকি দিতে লাগল। জাদুকর এবার তার ঘর থেকে বের হয়ে দ্বীপের তীরে এসে দাঁড়াল। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখতে লাগল এ সর্বনাশা ঝড় দ্বীপের কতটা ক্ষতি করতে পেরেছে। অকস্মাৎ এক জায়গায় তার চোখ আটকে গেল। সে দেখতে পেল একটা কিশোর চিত হয়ে পড়ে আছে। সে দৌড়ে চলে গেল সেখানে।

বালককের শ্বাস-প্রশ্বাস এখনও চলছে। তার মানে সে মরেনি, এখনও বেঁচে আছে। যে করেই হোক ছেলেটাকে বাঁচাতে হবে। তাই জাদুকর ছেলেটাকে কোলে করে তার ঘরে নিয়ে এলো। যদিও সে তার সব জাদুমন্ত্র ভুলে গেছে, তবু সে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে লাগল। তার আপ্রাণ চেষ্টায় অবশেষে বিকেলবেলা কিশোরটির জ্ঞান ফিরল। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পর জাদুকরের কুৎসিত চেহারা দেখে কিশোরটি ভয়ে পালাতে লাগল। জাদুকর ছেলেটিকে অভয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলো। ছেলেটি বললো, ‘আমি খুবই গরীব পরিবারের ছেলে। পরিবারের জন্য কিছু করার জন্য বিদেশে যেতে চাইতাম। এক দালালের সঙ্গে কথা বলে বিদেশ যাওয়াও ঠিক করে ফেললাম। কিন্তু সর্বনাশা ঝড় আমার সব আশা শেষ করে দিল।’

সে আরও বলতে লাগল, ‘একটি ট্রলারে করে দালালরা তাদেরকে সমুদ্রে নিয়ে আসে। তারপর প্রায় তিনশজনের মতো লোকসংখ্যার আরেকটা ট্রলারে তাদেরকে উঠানো হয়। সেখানে থাকতে তাদের খুব কষ্ট হতো। একসময় তাদের খাবার ফুরিয়ে গেল। তারা খাবার চাইলে তাদেরকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। দালালদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রায় ত্রিশজনের মৃত্যু হয়। তারা মৃত লাশগুলো সাগরের পানিতে ভাসিয়ে দিত।‘

এমন নির্মম কথা শুনে জাদুকরের চোখ ভিজে গেল। সে কিশোরকে কিছু খাবার দিল। ছেলেটি খুব ক্ষুধার্ত ছিল, তাই সে সব খাবার খেয়ে নিল। এবার জাদুকর তাকে ঘুমিয়ে যেতে বলল। কিশোরটি আরাম করে বিছানায় শুয়ে পড়ল। কত দিন সে আরাম করে ঘুমায়নি। এ কিশোরের নিষ্পাপ মুখ দেখে জাদুকরের বড় মায়া হল। সেই সঙ্গে তার নতুন করে নতুন নিয়মে বাঁচার ইচ্ছে হলো। সে ভাবলো আবার যদি সে মানুষের সঙ্গে বাস করতে পারত! জাদুকর হিসেবে নয়, খুব সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে।

পরদিন সকালে দুজন ঘুম থেকে উঠে বাইরে এলো। এবার কিশোরটি জাদুকরের এখানে আসার ঘটনা জানতে চাইলো। প্রথমে জাদুকর বলতে না চাইলেও ছেলেটির অনুরোধের কাছে সে আর না করতে পারল না। জাদুকর তার সব ঘটনা খুলে বলল। জাদুকরের কথা শুনে বালক হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। সে জাদুকরের কথা বিশ্বাসই করতে চাইল না। জাদুকর তখন বলল, আমি সব মন্ত্র ভুলে গেলেও একটা মন্ত্র এখনো জানি। সেটা হল পানি গরম করা। ছেলেটি তখন সত্যতা যাচাই করার জন্য বুড়ো জাদুকরকে পানি গরম করতে বলল। তখন জাদুকর মনে মনে বিড়বিড় করে মন্ত্র পড়তে লাগলো।

কিশোর তাকে বলল, ‘তুমি মনে মনে মন্ত্র পড়ছো কেন?’ উত্তরে জাদুকর বলল, জোরে পড়লে তুমি মন্ত্র শিখে ফেলবে তাই।’

এবার কিশোর দেখলো সত্যি সত্যি সমুদ্রের পানি গরম হতে লাগল। দেখে তো কিশোরের চোখ ছানাবড়া। এবার জাদুকর বলল, কি বিশ্বাস হলো তো?

সে বলতে লাগল, এখানে থাকতে তার ভালো লাগে না। সে আবার মানুষের মাঝে ফিরে যেতে চায়, সাধারণ মানুষ হয়ে বাঁচতে চায়। একথা শুনে কিশোরটিও রাজি হয়ে গেল। তখন তারা অনেক চেষ্টা করে রাতদিন পরিশ্রম করে একটা নৌকা তৈরি করল।

একদিন সকালে দুজন নৌকায় উঠে পড়ল। নৌকায় বৈঠা বেয়ে তারা অনেকটা পথ পাড়ি দিল। মাথার উপরে ঠাঠা রোদ তাদেরকে বেশি দূর এগুতে দিল না। কিন্তু আশার আলো হয়ে আসলো দূর থেকে ভেসে আসা এক ফুটকি। হ্যাঁ, ওটা একটা জাহাজ। জাহাজ আসছে। আনন্দে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরল। জাহাজটা এখন দৃষ্টিসীমার ভেতরে চলে এসেছে। আস্তে আস্তে চলে এলো তাদের নৌকার কাছাকাছি। তাদের কথা শুনে সওদাগরের জাহাজ তাদেরকে তুলে নিল। গল্পের ভান্ডার

প্রায় সাতদিন পর তারা জাহাজ ঘাটে পৌঁছাল। জাহাজ থেকে নেমে জাদুকর তার রাস্তায় চলে যেতে চাইল। কিন্তু কিশোর জাদুকরকে যেতে দিল না। সে তার জীবন রক্ষাকারী বন্ধুকে কখনোই হারাতে চায় না। কিশোরের অনুরোধে জাদুকর তার সঙ্গেই যাবে স্থির করল। তারা দুজন কিশোরের বাড়ির দিকে রওনা দিল।

(সমাপ্ত)

GolpaKotha
GolpaKothahttps://www.golpakotha.com
Golpo Kotha - Read bengali all time favourite literature free forever in golpakotha.com গল্প কথা - আপনি যদি গল্পপ্রেমী হন তাহলে এই ওয়েবসাইটটি অবশ্যই আপনার জন্য
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments